প্রতীকী ছবি
হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ ::
নাফনদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবিতে ৪ রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। তবে ৩ জন সাতাঁর কেটে কূলে ফিরে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ মে ভোর রাত ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা দক্ষিণ জাদিমোরা পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারগামী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বোঝাই একটি নৌকা ওপারে চলে যাওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট নাফনদীর উত্থাল পানিতে নৌকাটি ডুবে যায়। এদের মধ্যে ভেসে গিয়ে জালিয়ার দ্বীপে অবস্থান নেওয়া জাদিমোরা ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী লালুর পুত্র রবিউল আলম (৪০), রবি আলমের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত (১০) ও হাবিব উল্লাহর পুত্র মোঃ কায়সার (১১) কোন প্রকারে কিনারায় ফিরে আসে। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত রোহিঙ্গা মৃত আবুল ফয়েজের স্ত্রী গোল ছেহের (৭০), কুতুপালং ক্যাম্পের অজ্ঞাত আরো ১ মহিলা ও ২ পুরুষসহ এখনো ৪জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের জীবিত অথবা মৃতদেহের সন্ধানে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। ঘাটের দালালেরা ওপারে গমনকারী রোহিঙ্গাদের জনপ্রতি ১০হাজার টাকা করে নেয় বলে ফিরে আসা কায়সারের মা ও নিখোঁজ গোল-ছেহেরের মেয়ে জানায়।
রোহিঙ্গা বস্তির আব্দুল করিম মাঝি, চোরাইপথে নাফনদী পার হতে গিয়েই নৌকা ডুবি ও নিখোঁজের সত্যতা স্বীকার করেন।
এই ব্যাপারে স্থানীয় জাদিমোরা এমআর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মোনাফ কোম্পানী বলেন, এই সীমান্তে কতিপয় স্থানীয় এবং রোহিঙ্গা মিলে রাতের আঁধারে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে দাবী করেন।
এই ব্যাপারে দমদমিয়া বিওপির নায়েক সুবেদার মনির বলেন, এই দূর্যোগ পরিস্থিতিতে রাতের আঁধারে ফাঁক-ফোকর দিয়ে হয়ত আসা-যাওয়া করতে পারে। এতে বিজিবির জওয়ানদের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে তিনি আরো বলেন সীমান্ত পরিস্থিতি নষ্টকারী কোন অপরাধীকে ছাঁড় দেওয়া হবেনা।
এদিকে দক্ষিণ জাদিমোরা ঘাটে রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী আদম পারপারাপারের চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে।
পাঠকের মতামত: